আর একদিন পরই শুরু হবে ইমার্জিং এশিয়া কাপ। মূল লড়াইয়ের আগে নিজেদের প্রস্তুতি বেশ ভালোভাবেই শেষ করেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। তিন ম্যাচের দুটিতেই তারা আফগানিস্তানকে হারিয়েছে। তৃতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে তাদের জয় বেশ দাপুটে। ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক আকবর আলী এবং বলে তোপ দেগেছেন শেখ মেহেদী।
তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহ কিছুটা হতাশই হবেন। কারণ ম্যাচে বল-ব্যাট কোথাও অবদান নেই সৌম্য সরকারের! এর আগে ব্যাটিংয়ে জ্বলে উঠতে না পারলেও, বল হাতে সৌম্য মোটামুটি ভালোই করেছিলেন। পছন্দের এই ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে ফেরাতে বেশ বাড়তি মনোযোগই দিচ্ছেন হাথুরু।
ইমার্জিং এশিয়া কাপে কেউ ভালো পারফর্ম করতে পারলে তার দলে জায়গা করে নেওয়াও সহজ হবে বলে এই লঙ্কান কোচ মনে করিয়ে দেন। ৪০ ওভারের ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে এদিন বাংলাদেশ ৩৬.১ ওভারে ২১৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন আকবর। ৬০ বলের মোকাবেলায় তিনি ৯টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান।
এছাড়া পারভেজ হোসেন ইমন ২৬ বলে ৩৩ ও মাহমুদুল হাসান জয় ৪০ বলে ২৭ রান করেন। ৮ বলের মোকাবেলায় সৌম্য করেন মোটে ২ রান। আফগানিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ ইবরাহিম ৪টি, সাইদ শিরজাদ ও বিলাল সামি দুটি করে উইকেট শিকার করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৬.৩ ওভারে ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস।
ফলে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল জয় পায় ২৩ রানে। স্কোরবোর্ডে কোনো রান জড়ো করার আগেই শেখ মেহেদী হাসানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ২ ব্যাটার। দলীয় ৮ রানে তাদের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। এরপর বাহির শাহ একাই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তবে দলকে জয় এনে দেওয়ার জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না।
শেষপর্যন্ত ৮৬ বলে ১০০ রান করে ক্ষান্ত হন তিনি। আফগানদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন আল্লাহ নূর। মেহেদী ৮ ওভার বল করে ২২ রানের খরচায় চারটি উইকেট শিকার করেন। দুটি করে উইকেট শিকার করেন রাকিবুল হাসান ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। সৌম্য ৩ ওভার বল করে ২০ রান খরচ করে ছিলেন উইকেটশূন্য।